অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রেললাইনে নাশকতা ঠেকাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লা, কুমিল্লা-নোয়াখালী ও কুমিল্লা-চাঁদপুর রেলপথের ১৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। রেলওয়ের নিজস্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও নিয়োজিত হচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
১৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত এ নির্দেশনা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার।
রেলওয়ে সূত্রমতে, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালীর পথে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। এরমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যাই বেশি। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে মূল্যবান পণ্য পরিবহনের জন্যও এ পথ ছাড়া বিকল্প নেই। তাই নাশকতা এড়াতে রেলওয়ের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাইদুল আলম বলেন, ‘এ পথে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করি। গাজীপুরের দুর্ঘটনার পর আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন পর্যন্ত রেললাইন পাহারা প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।’
এদিকে রেলওয়ে কর্মীদের সঙ্গে পাহারায় যুক্ত হয়েছে জিআরপি পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
রেলওয়ে কুমিল্লা স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন, নাশকতা এড়াতে পুলিশকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি রেলওয়ে কর্মীদের পুরোদমে সহযোগিতা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, দিনরাত সমানতালে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৭০ কিলোমিটার এলাকায় পাহারাদার হিসেবে ১১১ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। তারা পালাক্রমে বিরামহীনভাবে এ দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের গোমতী তীরবর্তী বানাসুয়া, মৌলভীনগর, এখলাসপুর, গণিপুর, আইট্টাবাড়ি, গাবুয়া, কাগইয়া, পেয়ারাপুর ও কোর্ট স্টেশন চাঁদপুরকে এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করি এখন থেকে আমরা ঝুঁকিমুক্ত হবো।
Leave a Reply